মুজিববর্ষে ঘর পাচ্ছেন সমতলের সাড়ে ৩ হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

বাংলাদেশ

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সমাজে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাড়ে তিন হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার পাচ্ছেন।

থাকতেন মাটির ঘরে। বর্ষায় ছিলো নিদারুণ কষ্ট।  ছিলোনা সামাজিক নিরাপত্তাও। সমাজে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষের কাছে একটি পাকা ঘর অনেকটা স্বপ্নের মতই। তবে, মুজিববর্ষে সমতলে বসবাসরত তিন হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নেয়া কর্মসূচির আওতায় একটি করে পাকা ঘর উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এতেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দারিদ্র্যপীড়িত মানুষগুলো।

এদেরই একজন মমতা রানী। একাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর এখন স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষার।  নতুন ঘরে নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করছে সে। মমতার ছোট বোন পূর্ণিমা রানীও পড়ছে নবম শ্রেণিতে। সরকারি কর্মকর্তা হবার স্বপ্ন বুনছেন।

ক’দিন আগেও ছিলোনা কোন ঘর। সামাজিকভাবেও পিছিয়ে ছিলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার প্রতাপহাটের রবিদাস সম্প্রদায়ের এই মানুষগুলো। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি পাকা ঘর পেয়ে এখন প্রার্থনায় মশগুল মদন দাশ দম্পত্তি।

তাদের মত এই এলাকার ১১টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ঘর উপহার দেয়ার এলাকাবাসীও আশা করছেন তারা এখন সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসবে।

সিরাজগঞ্জের মত রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘানিরামপুরের পাটনি সম্প্রদায়ের ২৬টি পরিবারও এখন নতুন ঘর পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। ঘর পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি কেউ। বলছেন, পাকা ঘর পেয়ে তারা এখন সামাজিকভাবে নিরাপত্তাবোধ করছেন।

মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়ার পাশাপাশি সাড়ে তিন হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির মানুষকে পর্যায়ক্রমে একটি করে দুই কক্ষ ঘর উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দরিদ্রকবলিত এসব সম্প্রদায়ের মানুষের সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে উপবৃত্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।