রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় করোনার টিকা দেয়ার সব প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ। টিকার কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণও শেষের দিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারণা দরকার।
৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে একযোগে দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে প্রান্তিক জনসাধারণের অনেকেই জানেন না কীভাবে, কোথায় এবং কারা প্রথম পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
গেল ৩১শে জানুয়ারি রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বেক্সিমকোর ফ্রিজারভ্যানে পৌঁছে দেয়া হয় ৬ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন। কোল্ডচেইন মেইনটেইন করে আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে টিকাগুলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা ভ্যাকসিনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে এবং কার্যক্রমকে সফল করতে অনেক বেশি প্রচারণা দরকার।
২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রংপুর বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ১৫ ক্যাটাগরির ৫৫ হাজার জনের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। জানানো হয়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের সব প্রস্ততি নেয়া হয়েছে এবং সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের বাইরে কাউকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে না।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, “রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কাউকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। তাই আমি সবাইকে অনুরধ করবো যেন ৭ তারিখের আগে রেজিস্ট্রেশন করেন নেন।”
রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আহাদ আলী বলেন, “হাসপাতালের চাহিদা দেখে আমরা ভ্যাকসিন সেন্টার করবো। প্রয়োজনে এটা আমরা উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করবো।”
আপাতত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি বুথে দুইজন করে ভ্যাকসিনেটর এবং ৩ থেকে ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। এছাড়াও থাকবে বিশেষ মেডিক্যাল টিম।