সিন্ডিকেট নয়, সব জনশক্তি রপ্তানিকারকদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে, জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুখ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানির চুক্তি ও রপ্তানি প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ করলে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে সম্পাদিত জিটুজি প্লাস চুক্তিতে মালয়েশীয় সরকার ঘোষণা করে, তারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর তিন লাখ করে পাঁচ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে। অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হয় জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার টাকা।
তিনি আরও আরো বলেন, বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা তিল তিল করে ১৯৮৪ সাল থেকে নিজেদের শ্রম, মেধা, মূল্যবান সময় ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গড়ে তুলে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমিকের এই বিশাল বাজার। একসময় এই বাজারে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ লাখের অধিক। এসব শ্রমিক যাচ্ছে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত সব এজেন্সি কোনো ধরনের বাধা ছাড়া সবাই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি করার সুযোগ পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানায়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পৃথিবীর কোনো দেশ জনশক্তি রপ্তানি করে না। মালয়েশিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না, ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতের এমন এক আদেশও রয়েছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জনশক্তি রপ্তানির সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।