চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন মাত্র ১৮০ দিনের পথচলায় বদলে দেয়ার চেষ্টা করেছেন অনেক কিছু, বদলেছেনও কিছু। নগরবাসী বলছেন, নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে তার কর্মকাণ্ড বিপ্লবের সূচনা হয়েছে।
নিজেই চালাচ্ছেন মোটরসাইকেল। থামছেন বিভিন্ন স্থানে-শুনছেন সমস্যা, দিচ্ছেন নানান পরামর্শ। গেল ৬ই আগস্ট দায়িত্ব পাওয়ার পর পুরো সময়টাতে সুজন এরকমই ছিলেন। নগরবাসীর জন্য তার এই কর্মতৎপরতার নাম দেন ক্যারাভ্যান সেবা কর্মসূচি।
চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের পরিচালক রেবেকা নাসরীন বলেন, চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটা রোড খানা-খন্দে ভর্তি ছিল। এই রোডগুলোর কাজ উনি খুব দ্রুত সংস্কার করেছেন এবং তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে এসব কাজ দ্রুত করা সম্ভব।
প্রশাসক হয়ে নগরের দায়িত্বে তারপরও চলাচলেও ছিল আগের সাধারণ মানুষের মতোই। এলাকাবাসী জানায়, উনি সবার সাথে খুব সহজেই মিশে যেতে পারতো। উনার সঙ্গে কোন পুলিশ প্রটোকলও থাকতো না। আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে গিয়েছেন।
অল্প সময়ে নিয়েছেন বেশকিছু পদক্ষেপ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মানুষের অভিযোগ শুনার জন্য একটা ওয়েবসাইট খুলেছি। আমার ফেইসবুক, হোয়াটস অ্যাপ এবং ইমোতে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। কোথায় কি কাজ হচ্ছে বা কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে আমি সবসময়ই জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।
অল্প দিনে গণমানুষের মনে জায়গা করে নেয়া সুজন জানান ‘দায়িত্ব পেয়ে কিছু করার চেষ্টা করেছেন তিনি- ভাল লাগলে দোয়া পাওয়ার আশা- ভুল হলে ক্ষমা করে দেয়ার অনুরোধ তার।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমার কোন কাজে যদি নগরবাসী কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। নতুন নগরপিতা হিসেবে যিনি আসবেন তিনি যেন এই শহরকে বিত্তের না, চিত্তের শহর হিসেবে গড়ে তুলেন।
গেল সোমবার চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন খোরশেদ আলম সুজন। নির্বাচন শেষে বিজয়ী মেয়র আছেন দায়িত্বগ্রহণের অপেক্ষায়।