আজ ৫ই ফেব্রুয়ারি, ফুটবল বিশ্বের তারকা খেলোয়াড় রোনালদোর জন্মদিন। পা দিলেন ৩৬-এ।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো লুইস নাজারিও ডি লিমা, এ সময়ের বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়। বছরের পর বছর ধরে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা ফুটবলারের তকমা জড়িয়ে আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গায়ে। বহু রেকর্ডের বরপুত্র এই পর্তুগিজ তারকাকে অনুসরণ করে আধুনিক ফুটবলের বহু তারকারাও। ক্যারিয়ারে ২৭টি শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন জুভেন্টাসের এই উইঙ্গার, যার মধ্যে পাঁচটি লিগ, পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর একটি উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।
রোনালদোর জন্ম ১৯৮৫-এ, পর্তুগালের মাদেইরা শহরে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন ততকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে মিল রেখে। ছোটবেলায় ছিলেন অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির। শৈশবে খেলতে পছন্দ করতেন বড়দের সঙ্গে। বড়দের সঙ্গে খেলার সময় অনেক বেশ লাথি খেতে হতো। তবুও দমে যেতেন না। ছোটবেলা থেকেই অনুভব করতেন ফুটবলার হতে হবে। মাত্র ১২ বছর বয়সে খেলা শুরু করেন স্পোর্টিং দ্য লিসবোয়াতে। একপর্যায়ে মাদেইরা থেকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে চলে আসেন। এরপর কেবলই এগিয়ে চলার গল্প।
২০০৩-এ যোগ দিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখানে ছয় বছর কাটিয়ে ২০০৯-এ গায়ে চাপালেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি। এরপর ২০১৮ সালের ১০ই জুলাই দীর্ঘ নয় বছর পর ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ইতালিয়ান পরাশক্তি জুভেন্টাসে পাড়ি জমান এ পর্তুগিজ তারকা। এই নয় বছরে একাধিক ব্যালন ডি অরের শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন সময়ের সেরা এই তারকা।
স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের (৪৫০) রেকর্ড রোনালদোর দখলে। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ (১২১), ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (৯) গোলের রেকর্ড তো আছেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের (৩৪) কীর্তিও আছে তার ঝুলিতে। পর্তুগালের হয়ে তার ৮৫ গোলও দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। পাঁচবার জিতেছেন বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর।