প্রেসিডেন্ট ও অং সান সু চি কে বাসভবনে বন্দি করে রাখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অং সান সু চি কে তাদের বাসভবনে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী খিন মং জো।

শুক্রবার রাজধানী নেপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নিজেরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। আটক নেতারা কোন আইন ভঙ্গ না করায় তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি। এছাড়া তদন্ত চলতে থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় নি। 

সেনা অভ্যুত্থানের দু’দিন পর বুধবার রফতানি ও আমদানি আইন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা করে সামরিক সরকার।

পুলিশের জমা দেয়া আবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘনের এবং দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা নির্ধারিত করোনাকালীন বিধিনিষেধ লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, ৭০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরে তার প্রেসিডেন্ট ভবনের ফটকে স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি প্রচার সমাবেশে অংশ নিয়ে করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ওই সমাবেশে প্রায় ৭৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ওই সমাবেশে সর্বাধিক ৫০ জনের উপস্থিতি নির্ধারণ ছিল। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ব্যাপক সমাগম করেছিল। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ক্ষমতাচ্যুত এ প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে, পুলিশ হেফাজতে থাকা অং সান সু চির বিরুদ্ধে নেপিদোয় তার বাসায় ‘অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি ব্যবহারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও মিয়ানমারের বাজারে এ জাতীয় ডিভাইস ব্যাপকভাবে সহজলভ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে সু চি’র সুরক্ষা টিমের কাছে নয়টি ওয়াকিটকি পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে রফতানি ও আমদানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৫ বছর বয়সী সু চির তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গত সপ্তাহে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।