লালমনিরহাটে জমে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ

সকল জেলা

চতুর্থ দফায় প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ। বিরাজমান সমস্যার সমাধানসহ উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

লালমনিরহাট পৌরসভায় দীর্ঘ দিনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে সড়কবাতির অভাব, যানজট, জলাবদ্ধতা ও দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নিয়মিত কর দিয়েও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকার অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর।  এসব সমস্যার সমাধানে এবার যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার কথা বলছেন ভোটাররা।

ভোটাররা বলেন, বর্জ্য ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান দরকার। যে প্রার্থী তা নিশ্চিত করবে তাকেই তারা ভোট দিবেন।

ভোটারদের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়রপ্রার্থীরা। জাতীয়পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ওয়াহেদুল হাসান সেনা বলেন, ‘এখানে জলাবদ্ধতা অনেক বড় একটি সমস্যা। এটি আমি দুর করবো। এই পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই কার্যালয় করে যথাযথ জনসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করবো।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘পৌরবাসী ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করলে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবো।’

তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের।

স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন বলেন, ‘যারা বিভিন্ন পদে রয়েছেন তারা তাদের সুযোগ সুবিধাগুলো ব্যবহার করে এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের আচরণবিধিও তারা মানছেনা।’

বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোশাররফ হোসেন রানা বলেন, ‘তারা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ভোটের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এভাবেই তারা ভোটকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য পুলিশের কন্ট্রোলরুসহ সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি।’

এবার লালমনিরহাট পৌরসভায় বড় তিন দলের প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন ও আওয়মী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত একজন স্বতন্ত্র প্রাথীসহ মোট মেয়রপ্রার্থী পাঁচজন।

এছাড়া, কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চতুর্থ দফায় ১৪ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচন। প্রথমবারে মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেবেন  ৪৮ হাজার ভোটার।