পাহাড়ে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে লক্ষাধিক মানুষ

বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে পাহাড়ে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লক্ষাধিক মানুষ। টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড়ে বড় ধরনের ধসের আশংকা করা হচ্ছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ১৮টি পাহাড়ের মধ্যে ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বাকি ৮ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার। গত দুই বছরে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বায়েজিদ লিংক রোডের আরও আটটি পাহাড়। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার উচ্ছেদের পর আবারো দখল হয়েছে পাহাড়। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনেককে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান বলেন, ‘যে সমস্ত ব্যক্তি বা দপ্তরের মালিকানায় এই পাহাড়গুলো রয়েছে, আমরা উচ্ছেদ করার পরে পূণরায় যেন এখানে কেউ বসতি স্থাপন না করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।’

পাহাড় থেকে ঝুকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ শুরু করতে গেলে প্রভাবশালীদের করা মামলায় সে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।  অবৈধ বসবাসকারীরা নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাওয়ায় তাদের উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হচ্ছে না।

পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, ‘বছরে ১০ মাস আমরা ঘুমিয়ে থাকি, ঝিমিয়ে থাকি। পাহাড়ের এই বিপর্যয়ে আমরা তামাসা দেখি। পাহাড়ের দস্যুদের সাথে উঠাবসা করি, সক্ষতা তৈরি করে চলি। এখানে কোন আইন কাজ করেনা। বৃষ্টির মৌসুমে এসেে আমরা দুই মাসে পাহাড়কে মুক্ত করার চেষ্টা করি।’

বিভিন্ন সময় পাহাড় ধসের ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোন সুপারিশ আজও বাস্তবায়ন হয়নি।