কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর গত আট দিনেই চার হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার জনকে। যাদের অধিকাংশই নিম্নআয়ের মানুষ।
প্রতিদিনই শতশত মানুষকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হচ্ছে ঢাকার সিএমএম আদালতে। এদের বেশীরভাগই কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে আইন ভঙ্গ করেছেন। কেউ মাস্ক পড়েননি কেউবা অযথা ঘুরতে বেরিয়েছেন। নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধের আট দিনেই চার হাজারের বেশী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের বেশীরভাগকে জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভুক্তবোগীরা জানান, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মুখে মাস্ক না থাকায় আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে চার ধরনের আইন ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সংক্রামক ব্যাধি, মোটর যান আইন, ডিএমপি অ্যাক্ট এবং মোবাইল কোর্ট৷ সেনা, পুলিশ ও র্যাব এর সাথে ৫০টিরও বেশি মোবাইল কোর্ট কাজ করছে৷
ডিএমপি’র উপ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান দিচ্ছি। এরই মধ্যে আরও অনেক মানুষকে আমরা আটক করেছি। এদের মধ্যে যাদের আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন নেই তাদেরকে জরিমানা করে অথবা মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি।’
অনেকসময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রিজন ভ্যানে গাদাগাদি করে আদালতে নেয়া হচ্ছে৷ এতে করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সংক্রমণ রোধে প্রিজন ভ্যানে সামাজিক দূরত্ব মেনে আদালতে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, ‘আসামিদের আদালতে না এনে তারা ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে নামে মাত্র ১০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।’