করোনার থাবা এখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। যেসব দেশ করোনা মোকাবিলায় ভাল অবস্থানে ছিল, সেসব দেশ এখন ডেল্টা ধরনের কবলে।
গত বছর করোনার তাণ্ডবে ইউরোপ-আমেরিকা বিপর্যস্ত হলেও ভাল অবস্থানে ছিল ভিয়েতনাম, জাপান ও থাইল্যান্ড। তবে এ বছর ডেল্টার কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ।
এশিয়ায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ।
ইন্দোনেশিয়ায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে বেড়েছে ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেশটিতে চলা আংশিক লকডাউন বাড়ানো হয়েছে ৯ই আগস্ট পর্যন্ত।
গত বছর কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, টেস্ট ও কঠোর লকডাউন দিয়ে করোনার লাগাম টেনে প্রশংসা কুড়িয়েছিল মালয়েশিয়া। তবে এ বছর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে বেড়েছে সংক্রমণ। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হুমকিতে স্বাস্থ্য সেবা।
এদিকে টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের পর থেকেই করোনার সংক্রমণ বেড়েছে জাপানে। যদিও অলিম্পিককে করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে দেখতে নারাজ দেশটির সরকার। জাপানে জরুরি অবস্থা ২২শে আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্বে রোল মডেল হওয়া ভিয়েতনামেও বেড়েছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হোচিমিনসহ ১৮টি শহরের ব্যবসায়িক কেন্দ্রে চলাচলে দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডে করোনা আক্রান্তদের ৬০ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। আর শনাক্তের বেশিরভাগই রাজধানী ব্যাংককের। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, করোনায় মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে মরদেহ হিমাগারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
ডেল্টার কারণে খারাপ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে বিশ্বের প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া দেশ চীনে। উহানের সব নাগরিকের করোনা টেস্টের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।