জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আজ

আন্তর্জাতিক

ভারতের জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আজ।২০১৯ সালের এদিন ভারতের সংবিধান থেকে রাজ্যটিকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়।এই দুই বছরে সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘাত-সহিংসতা হলেও ভারত সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপে স্থিতিশীল হয়েছে পরিস্থিতি। 

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান।অঞ্চলটিতে আধিপত্য বিস্তারে বেশ কয়েকবার যুদ্ধেও জড়ায় দুই দেশ।

শেষ পর্যন্ত ভারত পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।ভারতের অংশ জম্মু-কাশ্মীর আর পাকিস্তানের অংশ আজাদ কাশ্মীর হিসেবে পরিচিতি পায়।

১৯৫৪ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন শুরু হয়। বিশেষ মর্যাদা পায় জম্মু-কাশ্মীর।

তবে ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট সংবিধানে বিশেষ সংশোধনী এনে সেই মর্যাদা বাতিল করে মোদী সরকার। নতুন আইনে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়

এরপর দুই বছর পার হলেও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ চলছে।

এরইমধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য অন্যসব রাজ্যের মতোই সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া অন্য রাজ্যের চার লাখ মানুষকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বসবাসের জন্য আবেদনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। অঞ্চলজুড়ে নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দমনপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান। তবে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছে মোদী সরকার।

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই মনে করে বাংলাদেশ। চায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা