শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট-২০২১ এর উদ্বোধন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে চারদিন ব্যাপী সামিটের উদ্বোধন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা: আমি থেকে আমরা’। সারা দেশ থেকে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীর পাশপাশি ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ও নীতিনির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন।
সামিটে বক্তারা সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণদের অন্তর্ভুক্তিতে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন সব সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর আলোকপাত করা হবে।
বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নিশ্চিত করতে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া নেতৃত্ব অনুশীলনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতাকে গ্রহণ করা এবং অন্তর্ভুক্তিকরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীনতার গুণাবলী গড়ে তুলতে না পারলে কোনও প্রতিষ্ঠান বা দেশে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’ একটি কার্যকরী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন গুণাবলী অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন মত বা গোষ্ঠীর মানুষ একে অপরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পারিক বোঝাপড়া তৈরি করবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিওয়াইএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইজাজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করি এই সামিটের মধ্য দিয়ে তরুণদেরকে এমন একটি দেশ গড়ে তোলার প্রতি অনুপ্রাণিত করা যেখানে সর্বস্তরে শুধুমাত্র সমাজের বিশেষ শ্রেণি বা গোষ্ঠী নয় বরং সকল নাগরিকের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকবে।’
সামিটের উদ্বোধনী আলোচনায় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে, ইউএসএআইডি’র ভারপ্রাপ্ত মিশন ডিরেক্টর মিলান পাভলোভিক এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র মহাপরিচালক কে এম তরিকুল ইসলাম।
সামিটের উদ্বোধনী দিনে ৪৫টি জেলার ১৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০০ শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।