বিশ্বে করোনায় একদিনে মৃত্যু আরও ১০ হাজার

আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ হাজার ৩৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত সাত লাখ চার হাজার ৮১১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮১ হাজার ২৬০ জন।

আজ শুক্রবার (৬ই আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ই আগস্ট) একদিনে ১০ হাজার ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয় আরও ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৬ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৩২৪। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ জন।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৬৩ লাখ এক হাজার ৭৪৪ জনের। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৩১ হাজার ৮৭৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৮ লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন।

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ২৬ হাজার ৭৮৫ জন। আর ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ১০ লাখ সাত হাজার ৮৮২ জন।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। তবে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৮০১ জনে।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬৬ হাজার ৫৮৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার ২৩২ জন।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২১ হাজার ৯০২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।