৩৫৭ শয্যা নিয়ে বিএসএমএমইউতে ফিল্ড হাসপাতাল চালু

বাংলাদেশ

করোনায় আক্রান্তদের শয্যা সংকট কাটাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৩৫৭ শয্যা দিয়ে চালু হলো  কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল। পর্যায়ক্রমে শয্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল চালুর সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার (৭ আগস্ট) ৩৫৭টি শয্যা দিয়ে শুরু হলো হাসপাতালটির কার্যক্রম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, শুধুমাত্র তারাই যারা অন্য কোথাও জায়গা পাননি, তারা ব্যতিত অন্য কোন রোগী এখানে ভর্তি করা হবে না। আজকে থেকে এখানে রোগী ভর্তি হবে।

হাসপাতালটিতে ৪০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। আর সব বেডেই কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার করোনা বেডের মধ্যে এক হাজার বেডও খালি নেই, এই অবস্থায় আমরা আছি। ঢাকার সরকারি হাসপাতালে ৮০০ আইসিউ শয্যা, আর বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৫০০ আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সারা দেশে ১৭ হাজার শয্যা এখন কোভিড রোগীদের জন্য। আমাদেরকে নন কোভিড চিকিৎসাও বজায় রাখতে হচ্ছে। নন কোভিড রোগীই আশি ভাগ। পাশাপাশি ডেঙ্গু এসে ঘাড়ে বসেছে। গত দুই মাসের তুলনায় রোগী সাত গুণ বেড়েছে। ডাক্তাররা কাজ করছে, আমরা টিকার কাজ করছি, ফিল্ড হাসপাতাল আমরা বাড়িয়ে চলছি, বেড বাড়িয়ে চলছি, কিন্তু তারও একটা সীমা আছে। কতটুকু আর করা যেতে পারে? তবে সময় এসেছে করোনা রোগী কমানোর।

তিনি আরো বলেন, সংক্রমণ কিন্তু হাসপাতালে হয় না, ক্লিনিকে হয় না। সংক্রমণ কোথায় হচ্ছে আপনারা জানেন। রাস্তাঘাটে হচ্ছে, দোকানপাটে হচ্ছে, ফেরিতে হচ্ছে, ফ্যাক্টরিতে হচ্ছে, গ্রামে-গঞ্জে হচ্ছে। ডাক্তার-নার্সরা তো আর বাস কনট্রোল করতে পারবে না, ফেরি কনট্রোল করতে পারবে না, ফ্যাক্টরি কনট্রোল করতে পারবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চীনের কাছ থেকে আরো ৬ কোটি ভ্যাকসিন কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নভেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিন দেশে পৌছাবে।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, টিকার ব্যবস্থা আমরা প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে আমরা টিকার খোঁজ নেই নাই। চীনের সঙ্গে টিকা আনার ব্যপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। আমরা ইতোমধ্যে ছয় কোটি টিকা আনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। অর্থাৎ আগের যে দেড় কোটি টিকা কনফার্ম ছিলো, তার সঙ্গে আরও ছয় কোটি, অর্থাৎ সাড়ে সাত কোটি টিকা আমরা চীন থেকে আনার চেষ্টা করছি।

মন্ত্রী জানান, হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর চেয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগী কমানোর দিকেই নজর দিচ্ছে সরকার।