বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে নিজের জীবন গড়ে তুলেছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তবে কখনই রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাননি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর বড় কন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্ম দিবসটি এবার প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে পালিত হলো। দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।
রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পদক প্রদান, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে, নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাঁচ নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান হয়।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, জাতির পিতার পাশে থেকে সমর্থন দিয়ে গেছেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তার জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে নতুন প্রজন্ম।
ফজিলাতুন্নেছাকে সবচেয়ে বড় গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নির্দেশনাগুলো নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে সক্রিয় থাকলেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা গেরিলা সংগঠন বেগম মুজিবের কর্মকাণ্ড কখনো আঁচ করতেও পারেনি। একটা গেরিলাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমি সবসময় বলি, আমার মা ছিলেন সবচেয়ে বড় গেরিলা। তিনি গোপনে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতেন, দিকনির্দেশনা দিয়ে আসতেন।
শেখ হাসিনা আরো জানান, নারী শিক্ষার পাশাপাশি তাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু যে পরিবারে জন্ম নিয়েছেন, পড়াশোনা করে অনেক বড় জায়গায় যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তাকে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন আমার মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী ছিলেন।