মেসির পিএসজি যাত্রা ঠেকাতে আদালতে বার্সা

খেলাধুলা

আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির সাথে বার্সেলোনার ২০ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটল বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন দিয়ে। এখন নতুন ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেয়া প্রায় চূড়ান্ত। তবে মেসির এই যাত্রা ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বার্সা।

মেসি কাঁদলেন। তিনি কাঁদালেন কোটি ভক্ত সমর্থকদের। শেষ হলো বার্সাতে মেসির স্বর্ণ যুগ। নতুন চুক্তিতে অর্ধেক বেতনে রাজি হয়েও প্রিয় দলে থাকতে পারলেন না এ ফুটবল যাদুকর।

অনেকে বলছেন, মেসি কি চাইলে বিনা বেতনে খেলতে পারতেন না? না পারতেন না এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আইনি বাধা। স্প্যানিশ আইন অনুসারে, যেকোনো নতুন চুক্তিতে খেলোয়াড়ের বেতন তার আগের চুক্তির বেতনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হয়। 

এটা ছাড়াও মেসির চুক্তি নবায়নে সমস্যা ছিলো আরো। মেসিকে ছাড়াই বার্সার বেতনের বিল ছিলো তাদের আয়ের ৯৫ শতাংশ। যেখানে এই বিল আয়ের ৭০ শতাংশের নিচে রাখার নিয়ম বেধে দিয়েছে স্প্যানিশ লিগ। ২০১৯-২০ মৌসুমে বার্সা খরচ করেছিলো ৫৪ শতাংশ। যা বর্তমান খরচ থেকে ৪১ শতাংশ কম।

বেশ কিছু গণমাধ্যমে সোমবার প্যারিসে মেসির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা শোনা গেছে। তবে বার্সার সাবেক এই ফুটবলারের দল বদল নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার তথ্য মতে, লিওর পিএসজিতে যাওয়া ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কাতালান ক্লাবটি।

ইউরোপিয়ান আদালতে বার্সার আইনজীবী ডক্টর হুয়ান ব্রানকোর করা অভিযোগে বলা হয়েছে, যে আর্থিক নিয়মের কারণে মেসিকে দলে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ক্লাব সেই ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়মে পিএসজির অবস্থা আরও খারাপ। ২০১৯-২০ মৌসুমে আয়ের ৯৯ ভাগই খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে খরচ করেছে প্যারিসের ক্লাবটি। 

তারা যোগ করেছে, এই মৌসুমে চড়া বেতন দিয়ে এরই মধ্যে ডনারুমা, সার্জিও রামোস, আশরাফ হাকিমির মত খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। যা নতুন খেলোয়াড় নিতে তাদের আইনি বাধা দিতে যথেষ্ট। এখন এ ট্রান্সফার আটকাতে বার্সা কতটুকু সফল হয় সেটিই দেখার বিষয়।