আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে মারা যাচ্ছে বহু বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
দেশটির তিনটি প্রদেশে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এদিকে, তালেবান আগ্রাসনের মুখে দেশটি রক্ষার দায়িত্ব আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানজুড়ে চলছে প্রচণ্ড লড়াই। সরকারি বাহিনীর সাথে তালেবান যোদ্ধাদের লড়াইয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক বেসামরিক নাগরিক। লড়াইয়ের কারণে মৃত্যুর শিকার হচ্ছে শিশুরাও।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক জরুরি তহবিল- ইউনিসেফ জানিয়েছে, সরকারি বাহিনী ও তালেবানের এ যুদ্ধে তিনদিনে দেশটির কান্দাহার, খোস্ত ও পাতকিয়া প্রদেশে অন্তত ২৭ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৩৬ জন।
সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ সংস্থাটি জানিয়েছে, যুদ্ধে শিশুদের ওপর নৃশংসতার মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমন ঘটনায় হতবাক সংস্থাটি।
এদিকে, গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ছয়টি প্রদেশ দখলে নেয়ার দাবি করেছে। এছাড়া সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সামানগান প্রদেশের রাজধানী আয়বাক দখলে নেয় তালেবান। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বানেও সাড়া দেয়নি তারা।
এদিকে, তালেবানের সাথে যুদ্ধে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মনে করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। এছাড়া, তালেবান অগ্রযাত্রার মুখে দেশটি রক্ষার দায়িত্ব আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বলেও মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়লাভ করার সামর্থ্য আফগান বাহিনীর থাকলেও যুদ্ধক্ষেত্রে তারা ভুল পথে এগোনোয় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা আফগান বাহিনীকে বিমান হামলাসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়ে যাব।
এদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেছেন, ইসলামাবাদকে দোষারোপ না করে তালেবান অগ্রযাত্রায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ব্যর্থতার দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর দেয়া উচিত।