পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়ে বিরোধীদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে ইমরান খানের যুক্তি তর্কের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
এবিষয়ে দেশটির প্রধান বিচারপ্রতি উমর আতা বান্দিয়াল রবিবার বলেছেন, জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আগামীকাল বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সকল রাজনৈতিক দলসহ দেশের সব দপ্তরকে এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। একদিকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হটাতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। অন্যদিকে ডেপুটি স্পিকারের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একতরফা ঘোষণা দিয়েছে বিরোধীরা।
অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধীরা আইনসভার অধিবেশন শুরু করে ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে।
২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি হওয়ার পর স্থগিত হওয়া পার্লামেন্ট অধিবেশন কেবল প্রেসিডেন্ট বা স্পিকার ডাকতে পারেন। কিন্ত ‘নতুন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে আইনসভায় এরই মধ্যে ভাষণও দিয়েছেন শাহবাজ। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা শেরি রেহমান একটি ভিডিও টুইট করেছেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, ১৯৭ জন সদস্য পিএমএল-এনের সাংসদ আয়াজ সাদিককে নতুন স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।