২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের লাঠি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। এ ঘটনার ১৩ বছর পর হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করার পর থানা কমপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সেদিনের (২০১১ সালের ৬ জুলাই) ঘটনায় জড়িত ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(এডিসি) বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) ও বর্তমানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
বর্তমানে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। শেখ হাসিনার সরকার পতন পর ডিবি হারুন ও অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লবসহ দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সোমবার দুপুর ২টায় শেরে বাংলা নগর থানায় উপস্থিত হন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকালে জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হোন। ভোরবেলা তারা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক নিয়ে এভিনিউয়ে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ করে একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়।
পরে তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে জয়নাল আবদিন ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুকের দিকে তেড়ে যায়। আরও কয়েকজন পুলিশ তার দিকে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে লাথি মারেন এবং তাকে ধরে টানা হ্যাচরা করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।
ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ আবার এগিয়ে এলে জয়নাল আবেদিন আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশ ও তার পিছু নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুককে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।